, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


'খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় সিল মেরে বাক্স ভরেও ২২ শতাংশের বেশি ভোট হয়নি'

  • আপলোড সময় : ১৪-০১-২০২৪ ০৮:৪৪:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০১-২০২৪ ০৮:৪৪:২৯ অপরাহ্ন
'খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় সিল মেরে বাক্স ভরেও ২২ শতাংশের বেশি ভোট হয়নি'
আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। যে কারণে হয়ত সামনে আরও দুর্দিন আসতে পারে। আমাদের মাটি উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন আনাবাদী না থাকে। জমি চাষ করা থেকে শুরু করে হাস, মুরগী, গরু, ছাগল পালন করতে হবে। আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে। আমাদের খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, সেটা আমাদের করতে হবে। আমার বিশ্বাস মাটি, মানুষ যদি কাজ করে,কেউ আমাদের পেছনে টানতে পারবে না। 

আজ রবিবার ১৪ জানুয়ারি বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি, সুধীজনদের সাথে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেক বাধা বিপত্তি, চক্রান্ত ও য়ড়যন্ত্র ছিল। কোনো মতে নির্বাচন না হতে পারে। এটাই ছিল আসল চক্রান্ত। আপনার ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্র ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের জয় হয়েছে। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একটি গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। কোনো রাজনীতিবিদ ক্ষতায় না থাকলে দেশের উন্নতি হয় না। এটা প্রমাণিত সত্য। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই উন্নতি হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ।  
 
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,‘৭৫’ পরবর্তী নির্বাচন যেন না হয় সে চক্রান্ত হয়েছিল। যতবার নির্বাচন বানচালের করতে চেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি। আসলে মানুষ কিন্তু আবার তার ভোটটা চুরি করলে ঠিকই ধরে ফেলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছিল। তখন সারাদেশে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী সবাইকে নামিয়ে নির্বাচন করেছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে ভোটার যায়নি। তারপরও সিল মেরে বাক্স ভরে ভোট নিলেও ২২ শতাংশের বেশি ভোট হয়নি। জনগণ তা মেনে নেয়নি, যে কারণে আন্দোলন হয় এবং খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগ করেন।

বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা গণতন্ত্রের ‘গ’ও বুঝে না। এমনকি বানানও করতে পারে না, তারা এখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে। তাদের আন্দোলন মানুষ পুড়িয়ে মারা, তারা জানে জ্বালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা। নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন করতে গিয়ে তারা বাসে, লঞ্চে ও রেলে আগুন দিয়েছে।

এদিকে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িতদের কেউ ছাড় পাবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি, যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই। জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুমদাতা তাদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য কাজ না করতে পারে, সেটাই আমরা চাই।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, যারা কখনো এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে দিতে চায়নি। যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন সময়ে ওই পাকিস্তান বাহিনীর দোসর ছিল। তারা বাংলাদেশ কখনো উন্নত হোক চায় না। তাদের মোকাবিল করে সকল সড়যন্ত্র ভেদ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সবাইকে একসাথে কাজ করে এই বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, স্মার্ট সোনারবাংলা হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ্।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’